এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরুর পরিকল্পনা করেছিল শিক্ষা বোর্ডগুলো। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই সময়সূচি বাতিল হতে পারে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা চান, ইতিমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।
কারণ হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। পড়ালেখায়ও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাঁরা পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থায় নেই।
এ দাবিতে পরীক্ষার্থীরা আজ সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যায় যৌক্তিক দাবি পূরণের বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ মো. আবুল বাশার।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার্থীরা জানিয়ে গেছেন, দাবি পূরণ না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁরা আবার আসবেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আগামীকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। প্রথমে গত ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তারপর একসঙ্গে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু পরে জানানো হয়, ১১ আগস্ট পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র বলেছিল, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বিভিন্ন এলাকায় থানায় হওয়া হামলায় প্রশ্নপত্র রাখা ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছিল। সর্বশেষ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল শিক্ষা বোর্ড। সেটি অনুমোদনও করা হয়। তবে এখন এ বিষয়ে আবার হয়তো নতুন সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।