চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। গত বছর এমন প্রতিষ্ঠান ছিল ৫০টি। আজ শুক্রবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তার আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়। আর সকাল সাড়ে ৯টা দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯।
শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আগেরবারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দেখা গেছে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশেই হয়তো পরীক্ষা দিয়েছে দুজন বা তিনজন। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই আবার নন-এমপিওভুক্ত।
এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য কাম্য শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী থাকতে হয়। তারপরও এসব প্রতিষ্ঠান থেকে একজন বা পাঁচজন পরীক্ষা দিক, তারা যেন পাস করার জায়গায় যেতে পারে, সেটা নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
এবারও দেখা হবে, কেন এমন হলো। এসব প্রতিষ্ঠান সমস্যা উত্তরণ ঘটিয়ে ভবিষ্যতে যেন ভালো করতে পারে, সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গত ৩০ এপ্রিল শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি।