প্রবেশপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরছে দুই শিক্ষার্থী
প্রবেশপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরছে দুই শিক্ষার্থী

এইচএসসির প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু ১০ জুন

৩০ জুন শুরু হবে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার রুটিনও প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড। এদিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সব প্রতিষ্ঠানে এইচএসসির প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু হবে ১০ জুন। শেষ হবে ১১ জুন। প্রবেশপত্র কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে বিতরণ করবে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রবেশপত্রে যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে সংশোধন করার জন্য অবশ্যই ২৩ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী আবেদন করে সংশোধন করে নিতে হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র উল্লিখিত (১০ ও ১১ জুন) সময়সূচি অনুযায়ী বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখা থেকে বিতরণ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা তাঁর প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষককে (স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ) কেন্দ্রের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপত্র অফিস চলাকালে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কোনো অবস্থাতেই শিক্ষক ব্যতীত অন্য ব্যক্তিকে প্রবেশপত্র গ্রহণ করার ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলে আবেদনপত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি-জেলা প্রশাসক-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর থাকতে হবে।

কবে কোনো জেলার প্রবেশপত্র বিতরণ

টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ১০ জুন প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে। ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলায় ১১ জুন প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে।

নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি। আর ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি। এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে ২৯ জুন থেকে ৪৪ দিন সব ধরনের একাডেমিক কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ৮৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজারের বেশি। আর ছাত্রী ৪০ হাজারের বেশি। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি। আর ছাত্রী ৬৫ হাজারের বেশি।

গত বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে নেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের কোনো অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে ওই অঞ্চলের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তবে এখন পর্যন্ত তাঁদের আশা ৩০ জুন থেকেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।

সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে সিলেট অঞ্চলে আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস আছে এবং বিভিন্ন নদীর পানির সীমা ঊর্ধ্বমুখী, সেটা নিয়ে ইতিমধ্যে তাঁরা অবগত হয়েছেন। যেসব কেন্দ্র ও অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছে, সেসব স্থানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়টি মাথায় রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যে অঞ্চলগুলোয় বন্যা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সেই পরীক্ষাগুলো পরবর্তী সময়ে নেওয়ার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি আছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বন্যা পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি, আমাদের পক্ষে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের সুবিধাটা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি মুখ্য। কারণ, আমরা চাই না পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’