আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসের নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।
আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসের নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বললেন

আগামী বছর এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে নেওয়ার চেষ্টা

আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা দেখতে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান।

উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলোভাবে চলছে। কখনো পরীক্ষা নেওয়া যায়নি, কখনো–বা পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পর নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা হয় ফেব্রুয়ারিতে আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় এপ্রিলে। এখন যদি নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে আগামী বছর থেকে স্বাভাবিক সময়ে ফিরবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা।

পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আশা করেন, এবার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল অহমেদ এবং আন্তশিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।

এর আগে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বাদে বাকি আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় আজ সকাল ১০টার দিকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রামসহ তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে ২৭ আগস্ট শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ১৪ আগস্ট থেকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এই সময়ের পর প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি নিবন্ধন খাতায় লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।