রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদনকারী পাঁচ প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে তাঁদের প্রবেশপত্রই দেওয়া হয়নি। এশিয়ার দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি থাকায় তাঁদের ডাকা হচ্ছে না। পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দিতেই এমনটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে প্রথমে একটি সহকারী অধ্যাপকের শূন্য পদে নিয়োগ দিতে ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি ওই সহকারী অধ্যাপকের জন্য আবার আবেদন চাওয়া হয়। একই দিনে প্রকাশিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে দুটি সহযোগী অধ্যাপক পদের জন্যও আবেদন আহ্বান করা হয়। আবেদন করেন মোট ২৪ জন। আগামীকাল মঙ্গলবার উপাচার্যের বাসভবনে মৌখিক পরীক্ষা (সাক্ষাৎকার) হওয়ার কথা রয়েছে।
আবেদনকারীদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র পাননি পাঁচ প্রার্থী। তাঁরা হলেন সারনী আক্তার, মাহবুবুর রহমান, মতিউর রহমান, নুরুজ্জামান ও জিয়াউল করিম। তাঁদের সবার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। এর মধ্যে চারজন জাপান থেকে এবং একজন চীন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সারনী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রবেশপত্র পাননি। প্রবেশপত্র না পাঠানোর বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক মৌখিকভাবে বলেছেন, এশিয়ার দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে এমন কোনো বিষয় উল্লেখ ছিল না। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই প্রশাসন এমনটি করেছে বলে অভিযোগ তাঁর।
প্রবেশপত্র না পাওয়া আরেক প্রার্থী জিয়াউল করিম বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর নামেও মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র যায়নি।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. ফিরোজ আলম বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে হলে যে নীতিমালা আছে, তা মেনে চলত হবে।