বই খুলেই পরীক্ষা দেবেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তবে কমল সময়

ওপেন বুক এক্সামের সময় কমিয়েছে কলকতা বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকেই অনলাইনে পরীক্ষা দিতে পারবেন। তবে ২৪ ঘণ্টা নয়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার জন্য তিন ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। গত শনিবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার উত্তর লিখতে হবে। যান্ত্রিক গোলযোগের কথা মাথায় রেখে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ই–মেল, ওয়েবসাইট ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র পাবেন। তারপর লিখে অনলাইনে উত্তরপত্র জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। যাঁদের অনলাইনে পরীক্ষা দিতে সমস্যা অর্থাৎ যাঁদের অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই, তাঁরা কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে উত্তরপত্রের হার্ডকপি জমা দিতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ করোনা আবহে ‘ওপেন বুক এক্সামিনেশন’–এর পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অনার্স ও মাস্টার্সের ৬৮টি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী। ৩১ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হবে

সেই পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তোলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বাড়িতে বসে ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা দেওয়া কার্যত বই দেখে লেখার শামিল বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, সেটি প্রক্রিয়া পরীক্ষা নয়, বরং পড়ুয়াদের ‘সেলফ অ্যাসেসমেন্ট’ হয়ে যাবে। ইউজিসির সেই চিঠির পর বৈঠকে বসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। এরপরই তাঁরা জানিয়ে দেন, পরীক্ষার সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা নয়, ৩ ঘণ্টায় পরীক্ষা দেবেন শিক্ষার্থীরা।

ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অনার্স ও মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১ অক্টোবর। পরীক্ষা চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর ৬৮টি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক-স্নাতকোত্তরের ফল প্রকাশ করা হবে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও দ্য টেলিগ্রাফ