ফরম পূরণের কিছু টাকা ফেরত পেতে পারেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফির জন্য নেওয়া (ফরম পূরণের টাকা) টাকার কিছু অংশ পরীক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা কার্যক্রমের জন্য নেওয়া টাকা যেসব খাতে খরচ হয়নি, তা ফেরত দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এইচএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ বিভাগভেদে শিক্ষার্থীরা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা জমা দিয়েছেন।

৭ অক্টোবর সরকার ঘোষণা দেয়, করোনার সংক্রমণের কারণে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে না। তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে ফরম পূরণের টাকা ফেরতের দাবি তোলেন।

এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফিসহ বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের ফি দিতে হয়েছে। পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও সেটি বাতিল হওয়ায় কিছু অর্থ জমা রয়েছে। বর্তমানে সে অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরতের চিন্তা-ভাবনা করছে বোর্ডগুলো। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র তৈরি, কেন্দ্র বুকিং, ফরমপূরণ, অ্যাডমিট কার্ড, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ব্যবহারিক পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট বিতরণে অর্থ ব্যয় হয়। উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ ব্যয় হয়নি।

জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট নিজ নিজ কলেজে পাঠানো হবে। এর সঙ্গে অবশিষ্ট অর্থ পাঠানো হবে। সার্টিফিকেটের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হতে পারে।

সারা দেশে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন আর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষা বোর্ডে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।