চলতি বছরও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না। আজ রোববার বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আজ সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অষ্টম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৪ সালে। নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি পরীক্ষা নেই। সুতরাং আগামী বছরও (২০২৩ সালে) জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কোনো কারণ নেই।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরও যে এই পরীক্ষা হচ্ছে না, সেটি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নানাভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার কিছুদিন আগে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি যেভাবে আছে, তাতে এই দুই পাবলিক পরীক্ষা শেষ করে আগামী নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব। তিনি বলেছিলেন, জুনে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এ পরীক্ষা শেষ করে আগামী আগস্টে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা, যা শেষ হবে অক্টোবরে। এরপর নভেম্বরে জেএসসি পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব। তবে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আর আজ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এ পরীক্ষা হচ্ছে না।
সাধারণত, প্রতিবছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে গত দুই বছর এ পরীক্ষাগুলো হয়নি। এর মধ্যে ২০২০ সালে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। গত বছর অবশ্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে কম বিষয়ে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছিল। এবারও অষ্টম শ্রেণিস্তরের শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার পরিবর্তে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।