চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১০ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শুরু করার পরিকল্পনা করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে পারে।
এমন পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত এমন পরিকল্পনা আছে। তবে এখনো পরীক্ষা শুরুর কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি। পরিস্থিতির কারণে এ পরিকল্পনায়ও কিছু ব্যত্যয় হতে পারে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এ বছর শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার সময় ও নম্বর কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ে কোনো পরীক্ষা হবে না। জেএসসি ও সমমান এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘বিষয় ম্যাপিং’ করে আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সূত্রমতে, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ২২ লাখের মতো। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের কিছু বেশি। গতবারের চেয়ে এবার এইচএসসি ও সমমানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এক মাস ব্যবধান দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করতে হয়। কিন্তু এবার যেহেতু ভিন্ন পরিস্থিতি, তাই অন্তত ১৫ দিন ব্যবধান দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করতে চান তাঁরা। সে অনুযায়ী এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে তারিখে পরীক্ষা শুরু করতে বলবে, সে অনুযায়ী পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি সরকার। তবে এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে আগামী নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হতে পারে। প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা আছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর এসব পরীক্ষা হয়নি। তখন পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধের পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য এখন এসব পরীক্ষার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।