বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও তুরস্কের ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় এবং গবেষণাধর্মী প্রকাশনা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার ও কৃষি গবেষণায় অংশীদারত্বের উদ্দেশ্যে এ প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার ও ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ইসমাইল কোয়ুনজু।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে আলমের সঞ্চালনায় সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য আবদুল জব্বার খান ও উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর অধ্যাপক সুলে ইতির সাতোগলু ও রেক্টর অধ্যাপক ইসমাইল কোয়ুনজু বক্তব্য দেন।
সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর মুহূর্তটি স্মরণীয় সময় উল্লেখ করে আবদুল জব্বার খান বলেন, এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো। সুলে ইতির সাতোগলু বলেন, প্রজেক্ট, প্রকাশনা ও গবেষণালব্ধ ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি দারুণভাবে উপকৃত হতে পারে।
সত্য প্রসাদ মজুমদার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় দুটি এ সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ সৃষ্টি করল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দুটি সফটওয়্যার টেকনোলজি, গবেষণা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার ও কৃষি গবেষণা খাত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে।
ইসমাইল কোয়ুনজু বলেন, ১৭৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর তাদের ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে। তিনি দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে একই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে ছাত্র-শিক্ষক বিনিময়সহ যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট ও গবেষণা চালিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করেন। খুব দ্রুত দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রকৌশল ও কারিগরি ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ দেশের অবকাঠামোগত ও কারিগরি সব ক্ষেত্রে অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করেন কনসাল জেনারেল নূরে আলম। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক স্বাক্ষরিত প্রটোকল বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালীকরণে ভূমিকা রাখবে—এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে কনসাল জেনারেল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। বিজ্ঞপ্তি