‘নেটওয়ার্ক অব ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্টস অব বাংলাদেশ’—প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জীবপ্রযুক্তি থিসিস উপস্থাপন প্রতিযোগিতা -২০২৪’। গতকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব হয়।
এর আগে বাংলাদেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক পর্বে তাদের স্নাতকোত্তরের জীবপ্রযুক্তিবিষয়ক থিসিস গবেষণা উপস্থাপনার করে। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বে সেরা সাতজন প্রতিযোগী তাঁদের থিসিস উপস্থাপন করেন। এখানে ক্যানসার রোগ নির্ণয়ের নতুন পদ্ধতি, অটিজম শনাক্তকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশকনিধন, কারখানার রঙের উৎপাদনে, ডায়রিয়া, খাদ্যদূষণ ও খাদ্যনিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে তাঁদের থিসিস উপস্থাপনা করেন আহমেদ জুবায়ের (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়), সাইফুল্লাহ জামিল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মোহাম্মদ আল বিরুনী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), তানজিন বরকতউল্লাহ (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), সানবিন সামিন (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), মো. ইমতিয়াজ (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মাহমুদা হক (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়)।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী এবং ওয়ান হেলথ গবেষণাগারের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল এবং জীবপ্রযুক্তির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির শিক্ষক মিরাজ কোবাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির শিক্ষক আদনান মান্নান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির শিক্ষক মো. জাহিদ হাসান ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির হামিদ হোসেন। উক্ত প্রতিযোগিতায় জিন প্রকৌশল ব্যবহারে অটিজম রোগ নির্ণয়ের থিসিস উপস্থাপন করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘মুনিরা বকুল বেস্ট প্রেজেন্টেশন অ্যাওয়ার্ড’ পায় মোহাম্মদ আল বিরুনী। এ ছাড়া মশকনিধনের নতুন প্রযুক্তি রানার্সআপ হয় তানজিন বরকতউল্লাহ। তৃতীয় স্থান পায় আহমেদ জুবায়ের।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক। এই পর্বের স্বাগত বক্তৃতা দেন মূল আয়োজনের সমন্বয়ক ও এনওয়াইবিবির সহসভাপতি (ইভেন্ট) রাগিব মুত্তাকী। আরও বক্তৃতা দেন আইইডিসিআরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এনআইবিবির সাবেক সভাপতি আরিফ খান। আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকিউলার এপিডারমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ, চট্টগ্রাম এবং ক্যানসার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্ট বাংলাদেশ (সিসিআরটি)।