বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ‘কোডিং ফর অল’ কর্মসূচির আওতায় মৌলিক পাইথন কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক। শিক্ষকেরা কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, গণস্বাস্থ্য ও ফার্মেসি এবং প্রাণ ও পরিবেশবিজ্ঞান অনুষদের। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আইইউবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিন শিক্ষক।
গত ২১ ডিসেম্বর আইইউবির সেন্টার ফর কগনিটিভ স্কিল এনহান্সমেন্টের (সিসিএসই) কম্পিউটার ল্যাবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন আইইউবিতে ‘কোডিং ফর অল’ ধারণাটির প্রবক্তা উপাচার্য তানভীর হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের ডিন অধ্যাপক মেহেরুন আহমেদ এবং স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক মামুন বিন ইবনে রিয়াজ।
‘অটোমেট ইওর ডে উইথ পাইথন’ শিরোনামের চার সপ্তাহের বিশেষ কর্মশালাটি শেষ হয় গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৩। প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদ ছাড়া অন্য অনুষদের শিক্ষকদের মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পাইথনের পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণ এবং মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ১০ শিক্ষককে।
আইইউবির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের অধ্যাপক এবং সাশিন সেন্টার ফল মাল্টিলিংগুয়াল এক্সিলেন্সের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বলেন, কর্মশালায় অংশ নেওয়ার পেছনে তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল পাইথন ব্যবহার করে কীভাবে ‘বিগ ডাটা’ বিশ্লেষণ করা যায় তা জানা। তিনি মূলত ভাষাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। এর অংশ হিসেবে তাঁকে প্রচুর পরিমাণে টেক্সট ডেটা নিয়ে কাজ করতে হয় যেমন সাক্ষাৎকার, ম্যানাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি। এ কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি পাইথন ব্যবহার করে কীভাবে সেন্টিমেন্ট অ্যানালিসিস করা যায়, সে বিষয়ে মৌলিক ধারণা পেয়েছেন বলে জানান।
উপাচার্য বলেন, আইইউবির ‘কোডিং ফর অল’ কর্মসূচিটি বাংলাদেশে অনন্য। দ্রুতগতির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এ যুগে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পূর্ণাঙ্গ সুফল পেতে হলে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আইইউবিতে ‘কোডিং ফর অল’ কর্মসূচির সূচনা হয় ২০২৩ সালের শুরুর দিকে। এর আওতায় বিভিন্ন বিভাগের কয়েক শ শিক্ষার্থীকে ইতিমধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।