গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দুই দিনের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দুই দিনের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন বক্তারা

সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যেতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় জোর দিতে হবে

গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ, প্যানেল আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি)’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, ‘অগ্রসরমাণ একটি জাতির এগিয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে ভূমিকা পালন করে গবেষণা। এটি যত সমৃদ্ধ হবে, জাতি হিসেবে আমরাও তত এগিয়ে যাব। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান করে না, গবেষণাও এর অপরিহার্য অংশ। সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যেতে হলে গবেষণায় জোর দিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত রোববার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শিক্ষক ও গবেষকেরা বক্তব্য দেন। আর্টস অ্যান্ড স্যোশাল সায়েন্সস অনুষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ও সহ–উপাচার্য অধ্যাপক খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ফায়জুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ দিন বিকেলে শিক্ষাঙ্গন ও ইন্ডাস্ট্রি পার্সনদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়; যেখানে ইংলিশ, সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান এবং গণমাধ্যম–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। আলোচনায় গবেষণা প্রবন্ধগুলো কাজে লাগানোর পাশাপাশি পরিবর্তিত বাংলাদেশের নানা বিষয় উঠে আসে।

শনিবার সম্মেলনের প্রথম দিনের সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রধান অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ও সহউপাচার্য অধ্যাপক খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল

এর আগে সম্মেলনের উপস্থাপনের জন্য চার শতাধিক গবেষণাপত্র জমা পড়ে, যার মধ্য থেকে ৩০৬টি প্রবন্ধ নির্বাচন করা। সেখান থেকে বাছাই শেষে দুই দিনের সম্মেলনে ৬২টি সেশনে গবেষণা প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করা হয়। নির্বাচিত গবেষণাগুলোয় চিন্তার নতুন গতিপথ, সমাজ-রাষ্ট্রের যোগাযোগ, পরিবর্তিত সাংবাদিকতার ধারা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নানা শাখায় ভূমিকা রাখবে বলে সম্মেলনে আশা প্রকাশ করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান করে না, গবেষণাও এর অপরিহার্য অংশ। শিক্ষা ও গবেষণা—দুটিই হাত ধরাধরি করে একসঙ্গে চলে। একটি ছাড়া আরেকটি সম্ভব নয়। সুতরাং সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যেতে হলে গবেষণায় জোর দিতে হবে। গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট সম্মেলন সেখানে বৃহৎ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সহ-উপাচার্য অধ্যাপক খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়–সংশ্লিষ্ট সবাই, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সম্মেলনের আহ্বায়ক এবং কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ সম্মেলনের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের ২১টি দেশের শিক্ষক-গবেষকরা অংশ নিয়েছেন।

গত শনিবার সম্মেলনের প্রথম দিনের সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রধান অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ও সহউপাচার্য অধ্যাপক খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

প্রথম দিনের সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ উদ্ভাবন ও গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছে, তারাই আজ বিশ্বের উন্নত দেশ। এক্ষেত্রে এশিয়ার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো চীন ও জাপান। প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সেখানে জ্ঞান সৃষ্টি ও গবষেণায়কে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। জাতিগতভাবে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশেও এই উদ্ভাবন ও গবেষণার বিকল্প নেই।