জেডিএসের (জাপানিজ গ্র্যান্ট এইড ফর হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ) ২২তম মাস্টার্স ও ষষ্ঠ পিএইচডি ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল গতকাল বুধবার রাতে। জাপানের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ সরকারি কর্মকর্তাদের বৃত্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা করছে জেডিএস প্রকল্প। গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের আওতাধীন এ প্রকল্প গ্র্যান্ট এইড স্কিমের অংশ।
২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫২৫ জন সরকারি কর্মকর্তা জেডিএস বৃত্তি পেয়েছেন।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ কর্মকর্তারা জাপানের সমাজ ও কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের আগ্রহ ও লক্ষ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাবেন। প্রোগ্রামটি এমনভাবে তৈরি যেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একাডেমিক এক্সচেঞ্জ।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং আমেরিকা ও জাপান উইংয়ের প্রধান এ কে এম শাহাবুদ্দিন এবং জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে। বিদায়ী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জেডিএস অপারেটিং কমিটির সদস্য, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তা, জেডিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং ২২তম মাস্টার্স ও ষষ্ঠ পিএইচডি ব্যাচের জেডিএস ফেলোরা।
জেডিএস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আছে হিরোশিমা ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জাপান, কেইও ইউনিভার্সিটি, কোবে ইউনিভার্সিটি, মেইজি ইউনিভার্সিটি, রিককিয়ো ইউনিভার্সিটি, রিতসুমেইকান ইউনিভার্সিটি, সুকুবা ইউনিভার্সিটি, ইয়ামাগুচি ইউনিভার্সিটি ও ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।