বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মেয়েশিক্ষার্থীদের জন্য স্টেম ও আইসিটি প্রকল্পের অধীন বাগেরহাট সদর ও রামপাল উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প প্রদর্শনী, উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে পোস্টার উপস্থাপনা, রোবোটিকস প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজনে যুক্ত ছিল
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মেয়েশিক্ষার্থীদের জন্য স্টেম ও আইসিটি প্রকল্পের অধীন বাগেরহাট সদর ও রামপাল উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প প্রদর্শনী, উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে পোস্টার উপস্থাপনা, রোবোটিকস প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজনে যুক্ত ছিল

বাগেরহাটে স্টেম ফেস্ট, খুদে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে মুগ্ধ সবাই

মোটর, সার্কিট, আর্ডইনও, সেন্সরের মতো সব ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত সবাই। এগুলোর একটি অন্যটির সঙ্গে যুক্ত করতে তারা ব্যবহার করছে আরও নানান কিছু। এভাবে তৈরি হচ্ছে গাড়ি। কম্পিউটারের সাহায্যে কোডিং করে সেই গাড়িতে দেওয়া হচ্ছে প্রোগ্রামিং। স্কুলপড়ুয়া খুদে শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে এভাবেই তৈরি করছে লাইন ফলোয়ার রোবট।

উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকায় মেয়েশিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক স্টেম ফেস্টে এমন দক্ষতা দেখাল স্কুলপড়ুয়া খুদে শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এই উৎসবে ছিল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প প্রদর্শনী, উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে পোস্টার উপস্থাপনা, রোবোটিকস প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজন।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মেয়েশিক্ষার্থীদের জন্য স্টেম ও আইসিটি প্রকল্পের অধীন আয়োজিত উৎসবে বাগেরহাট সদর ও রামপাল উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

উৎসবে ৫টি বিভাগের বিজয়ী ১৭ দলের ৪০ শিক্ষার্থীকে ও গণিত উৎসবের জাতীয় পর্বের জন্য মনোনীত ১২ শিক্ষার্থীকে মেডেলসহ পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা

উৎসবে রামপালের পেড়িখালী মডেল, বড় কাটালী বহুমুখী, ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক, শ্রীফলতলা পাইলট, ডাকরা বহুমুখী ও রামপাল পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং সদর উপজেলার উদ্দীপন বদর-সামছু বিদ্যানিকেতনের খুদে শিক্ষার্থীরা ৩১টি বিজ্ঞান প্রকল্প, ১০টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং দিনব্যাপী প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, কুইজ প্রতিযোগিতা ও রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের করে। সাসটেইনেবল সিটি, ড্রোন, ফ্লাড অ্যালার্ম সিস্টেম, ভূমিকম্প নির্ণায়ক, ফায়ার ডিটেক্টরসহ বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে শিক্ষার্থীরা মডেল উপস্থাপন করে। এ ছাড়া রোবোটিকসে লাইন ফলোয়িং রোবট তৈরি, চালনাসহ স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ে অংশগ্রহণ করে খুদে শিক্ষার্থীরা। তাঁদের উদ্ভাবনী সব আইডিয়া দেখে মুগ্ধ হন আগত অতিথিরা। তারা খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন কার্যক্রম জেলাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানা।

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির ও বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. হেলাল আন নাহিয়ান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রহিমা সুলতানা বুশরা, মোরেলগঞ্জ ইউএনও মো. তারেক সুলতান, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের (বিএফএফ) নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। মালালা ফান্ডের অর্থায়নে এই উৎসবের আয়োজন করে বিএফএফ ও বাংলাদেশ ওপেনসোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক স্টেম ফেস্টে উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েশিক্ষার্থীরা

উৎসবে ৫টি বিভাগের বিজয়ী ১৭ দলের ৪০ শিক্ষার্থীকে ও গণিত উৎসবের জাতীয় পর্বের জন্য মনোনীত ১২ শিক্ষার্থীকে মেডেলসহ পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, রামপালের প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েদের জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে বিকশিত করার এমন সুযোগ শিক্ষার্থীদের আরও প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলবে। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ আনন্দিত করেছে। এভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে উপকূলের মেয়েরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে।