শাশ্বত সৌম্য। পড়ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী তিনি। গানের প্রতি আগ্রহ তাঁর শৈশব থেকেই, বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীতে। তখন থেকেই গান শিখতেন ছায়ানটে। আর তাই হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর গানের সঙ্গে সখ্য রয়ে গেছে ঠিকই, গানচর্চার জন্য একটা জুতসই মঞ্চও খুঁজে নিয়েছেন তিনি। যুক্ত হয়েছেন বুয়েটের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মূর্ছনা’র সঙ্গে। সময়-সুযোগ হলেই ক্যাম্পাসে বন্ধুদের আড্ডায় গুন গুন করে গাইতে থাকেন। সঙ্গে সংগঠনের নানা কার্যক্রম তো আছেই। এসবের মধ্য দিয়েই তিনি হয়ে উঠেছেন ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখ।
শুধু গান নয়, বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্রেও তাঁর দখল আছে। কি–বোর্ড, কাহন ও পারকিউশন বাজাতে পারেন। কিছুদিন আগেই মূর্ছনার সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
শাশ্বত বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সবাই মিলে আমরা একটি পরিবার। গান শুনে কিংবা গানের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রত্যয় নিয়ে অনেকেই আসেন মূর্ছনায় যোগ দিতে। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়, অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। এ অনুভূতিটা আসলে দারুণ। আমি উপভোগ করি। সেই সঙ্গে তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন অনুষ্ঠান আয়োজন করাসহ সাংগঠনিক কাজগুলোর প্রতিই বেশি নজর দিচ্ছি।’
ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নটর ডেম কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন শাশ্বত। কলেজে থাকাকালীন ‘আউটস্ট্যান্ডিং ক্লাব পারফরম্যান্স’–এর জন্য পেয়েছিলেন ‘নটর ডেম অনারেবল মেনশন’। ২০১৬ সালে পান ‘পাইওনিয়ারস ফাইনালিস্ট অ্যাওয়ার্ড’। এ ছাড়া গত বছর গুগল ডেভেলপার গ্রুপের ‘হ্যাক স্প্রিন্ট’–এ পুরস্কার পান তিনি। যুক্ত ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত রবীন্দ্রজয়ন্তীতে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুয়েটের ক্যাম্পাসজীবন পুরোদমে উপভোগ করছেন তিনি।