নানা আলোচনা শেষে এ মাসে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষাক্রম। করোনার সংক্রমণের কারণে ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই বাছাই করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। আর যদি খুলতে দেরি হয়, তাহলে অনলাইনেই তা শুরু হবে। এ বছর দুটি শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে তা চালু হলেও আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে তা সবার জন্য বাস্তবায়ন শুরু হবে। নতুন এই শিক্ষাক্রমের বিষয়বস্তু, সর্বশেষ বাস্তবায়ন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদক মোশতাক আহমেদ।
প্রথম আলো: নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সর্বশেষ অগ্রগতি কী?
এম তারিক আহসান: বই ও শিক্ষক সহায়িকা তৈরি হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হয়েছে এবং এখন শিক্ষার্থীদের শেখানোর প্রক্রিয়া (শিখন) শুরু হবে।
প্রথম আলো: আমরা দেখলাম, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সময় একাধিকবার পেছানো হয়েছে। সর্বশেষ সময় অনুযায়ী এ মাসের শুরুতে বাস্তবায়নের কথা ছিল, এখন কী অবস্থা?
এম তারিক আহসান: আসলে বাস্তবায়নের কাজ থেমে নেই। আর পেছানোর জন্য করোনা পরিস্থিতি অনেকটা দায়ী। তবে এবার করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের শেখানোর প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এটি মাথায় রেখে কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। শেখানোর প্রক্রিয়াটি যেহেতু অভিজ্ঞতানির্ভর হবে, সুতরাং শ্রেণিকক্ষেই সব কাজ করতে হবে, তা নয়। কাজেই এ কার্যক্রম এবং বইগুলো এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে করোনা মহামারি বা যেকোনো জরুরি অবস্থায়ও দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শেখানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষক সহায়িকা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণেও এই কৌশলগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম আলো: প্রথম থেকেই বলা হচ্ছিল, এই শিক্ষাক্রম প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সমন্বিত হবে, যার মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকবে। কিন্তু সম্প্রতি আমরা লক্ষ করলাম এ নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষা প্রশাসনের মধ্যে দূরত্ব চলছে। এ অবস্থায় নতুন শিক্ষাক্রম কতটা কার্যকর হবে?
এম তারিক আহসান: আপনি ঠিক বলেছেন। আমরা ইতিমধ্যে জাতীয় পত্রিকায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্যের (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) বক্তব্যর মাধ্যমে জেনেছি, প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু চ্যালেঞ্জের কারণে তাদের বই প্রকাশ, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি কিছুটা পিছিয়ে গেছে। তবে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সমন্বয়ের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। এতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। আশা করছি, খুব শিগগির সমস্যাগুলো কেটে যাবে এবং নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।
প্রথম আলো: নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই প্রণয়নের অগ্রগতি কী?
এম তারিক আহসান: জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুযায়ী প্রথমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তারিত শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে। এরপর বই ও শিক্ষক সহায়িকা তৈরির গাইডলাইন তৈরি করা হয় এবং বিশেষজ্ঞ লেখক দল চূড়ান্ত করে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করা হয়। বই ও শিক্ষক সহায়িকা তৈরির কাজও একসঙ্গে শুরু হয়। পরীক্ষামূলকভাবে চালুর জন্য উপকরণগুলোও চূড়ান্ত হয়ে ছাপা হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে চালুর জন্য নির্ধারিত শ্রেণির সব শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, একাডেমিক সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। আর প্রাথমিকের চ্যালেঞ্জগুলো বলেছি। আশা করছি, খুব শিগগির সেগুলো কেটে যাবে।
প্রথম আলো: নতুন শিক্ষাক্রম যেভাবে হচ্ছে, তাতে মূল নিয়ামক শক্তি হচ্ছেন শিক্ষকেরা, কিন্তু তাঁদের কি সেভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে? পরীক্ষামূলক চালুর জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ কীভাবে হচ্ছে?
এম তারিক আহসান: সত্যি বলতে, শিক্ষকেরাই এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী। রূপরেখা অনুযায়ী শিক্ষককে স্বাধীনভাবে দক্ষতা প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষকের সৃজনশীলতা ও ব্যক্তিগত যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিখনপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অংশীজনকে যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী নিজে, সহপাঠী, অভিভাবক, পরিবার ও এলাকার লোকজন। এর মধ্যে শিক্ষক থাকবেন নেতৃত্ব ও সহায়কের ভূমিকায়। আর রূপরেখাটি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে ধাপে ধাপে বিপুলসংখ্যক শিক্ষককে প্রস্তুত করা যায়। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ২০২২ সাল থেকেই শুরু হবে এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া দেশে প্রচলিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকেও নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখার আলোকে পরিমার্জন ও যুগোপযোগী করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষামূলক চালুর জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। প্রথম প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা খুবই আশাব্যাঞ্জক।
প্রথম আলো: এর আগেও স্কুলভিত্তিক মূল্যায়ন (এসবিএ) চালু করা হয়েছিল, কিন্তু তখন নানা অভিযোগ উঠেছিল। এখন শিক্ষকের হাতে শিখনকালীন মূল্যায়নের পুরো দায়িত্ব দেওয়া হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে কি?
এম তারিক আহসান: এর আগে স্কুলভিত্তিক মূল্যায়ন চালু করা হলেও সেখানে একমুখী মূল্যায়নই চর্চা হতো, যেখানে শিক্ষকই কেবল মূল্যায়ন করতেন, নম্বরের ভিত্তিতে। প্রচলিত মূল্যায়নপদ্ধতিতে নম্বর পাওয়াই একমাত্র বিষয় হওয়ায় হাজার চেষ্টা করেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। মূল্যায়নের দায়িত্ব শুধু শিক্ষকের ওপর বর্তালে মূল্যায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যেমন দুরূহ, তেমনি জবাবদিহি নিশ্চিত করাও কঠিন। তবে শিক্ষকের ওপরও আস্থা রাখতে হবে। শিক্ষককে বাদ দিয়ে ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষা হবে না। নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় মূল্যায়নের দায়িত্বে শুধু শিক্ষককে না রেখে শিক্ষার্থী নিজে, সহপাঠী, তার অভিভাবক, এমনকি কমিউনিটিকেও সম্পৃক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এই প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহারের সুপারিশ থাকায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
প্রথম আলো: নতুন শিক্ষাক্রমে কেবল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক নিয়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিকের বিষয়টি পরিষ্কার করবেন কি? মানে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পাঠদান, বিষয় ও মূল্যায়ন কেমন হবে?
এম তারিক আহসান: উচ্চমাধ্যমিকে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনপদ্ধতিই অনুসরণ করা হবে। সেখানেও শিখনকালীন মূল্যায়নের প্রাধান্যই থাকবে। তবে সেখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার বিষয়গুচ্ছ থাকবে। এখানেও একটি নতুনত্ব আছে। সেটি হলো কেউ বিজ্ঞানের বিষয়গুচ্ছকে প্রধান হিসেবে নিয়ে যদি মনে করে তার সাহিত্য বা অর্থনীতি শেখারও আগ্রহ আছে, তাহলে সেটি নেওয়ার সুযোগ পাবে। একইভাবে ব্যবসায় শিক্ষার কোনো শিক্ষার্থী কেউ যদি মনে করে গণিত শিখতেও আগ্রহী, মানবিকের কেউ যদি মনে করে ধ্বনিতত্ত্ব বুঝতে তার পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান শিখতে হবে, তাহলে তাদের সেভাবে বিষয় বাছাই করার সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকে বিষয় বাছাইয়ে নতুনত্ব থাকবে।
প্রথম আলো: যেহেতু এসএসসির আগে, অর্থাৎ দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা নামে বিভাগ থাকবে না, সবাইকে অভিন্ন বিষয় পড়তে হবে। এর ফলে বিজ্ঞান শিক্ষা সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কার কথা কেউ কেউ বলছেন; কী ব্যাখ্যা দেবেন?
এম তারিক আহসান: আগে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ পেত মোট শিক্ষার্থীর মাত্র তিন ভাগের একভাগ। এখন এ সুযোগ অবারিত হবে সব শিক্ষার্থীর জন্য। কাজেই বিজ্ঞান শিক্ষা সংকুচিত হচ্ছে না, বরং যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রসারিত হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সব শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার উদ্যোগের পাশাপাশি তারা যাতে অন্তত কিছু দক্ষতামূলক কাজের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, সে সুযোগও রাখা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়লেও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কর্মক্ষম থাকে।
প্রথম আলো: শিক্ষার্থীদের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পরপর তিনটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটি হলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়বে না?
এম তারিক আহসান: এখন নবম ও দশম শ্রেণির সব পড়া মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের দশম শ্রেণি শেষে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়। এতে কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর বেশি চাপ পড়ে। নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়েই। আর দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এসএসসি পরীক্ষা। ফলে চাপ কমবে। একইভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আলাদা দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়বে না, বরং উল্টো কমার সম্ভাবনাই বেশি। প্রচলিত পদ্ধতিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সব কোর্সের ওপর একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি করে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুয়ায়ী একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আলাদা ভাগে পরীক্ষা হওয়ায় চাপ অনেক কমে আসবে।
প্রথম আলো: নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগসূত্রটি কীভাবে হবে?
এম তারিক আহসান: শিক্ষাব্যবস্থা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত যা হবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই অনুযায়ী ভর্তিপ্রক্রিয়া ঠিক করবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তিপ্রক্রিয়া ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ পরিবর্তনকে সুযোগ হিসেবে দেখবে বলে আশা করা যায়, যাতে ভর্তিপ্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়। শিক্ষাক্রম রূপরেখা প্রণয়নের সময়ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে।
প্রথম আলো: নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নতুন বই ও শিখন উপকরণ কেমন হবে?
এম তারিক আহসান: নতুন বই শিক্ষার্থীদের তথ্যে ভারাক্রান্ত করবে না, বইগুলো শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত করবে। শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করবে এবং সেই জ্ঞান প্রয়োগ করেও দেখবে। ফলে, শিখন মুখস্থনির্ভর থাকছে না।
প্রথম আলো: নতুন শিক্ষাক্রম ভালো বলছেন, কিন্তু বাস্তবায়নই যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে সেটি কতটা কাজে দেবে?
এম তারিক আহসান: এবারের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন কিন্তু শুধু নতুন বই হাতে দেওয়া নয়, বরং শিক্ষাব্যবস্থার বড় সংস্কার। সংস্কার করতে গেলে চ্যালেঞ্জ ও বাধা আসবে, এটাই স্বাভাবিক। সে জন্যই এই শিক্ষাক্রম পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে, যাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ধাপে ধাপে শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রস্তুত করে বাস্তবায়ন করা যায়। এই শিক্ষাক্রম রূপরেখার লক্ষ্য কিন্তু ২০৪১–এর সমৃদ্ধ–উন্নত বাংলাদেশ তৈরি। কাজেই এর লক্ষ্য পূরণও যে অতি শিগগিরই হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। পৃথিবীর কোনো শিক্ষাক্রমই শতভাগ বাস্তবায়নের রেকর্ড নেই। তাই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সফল হচ্ছে কি না, তা জানতে হলে খানিকটা সময় তো দিতেই হবে।