কিন্ডারগার্টেনসহ দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে এক বছরের মধ্যে নিবন্ধন ও শিক্ষাবিষয়ক (একাডেমিক) স্বীকৃতির আওতায় আনতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে। ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ নিবন্ধন বা একাডেমিক স্বীকৃতির আওতায় চলে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ এবং এ বছরের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধনের তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব ফরিদ আহাম্মদ।
দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে এক লাখের বেশি। এর মধ্যে সরকারি ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। অন্যগুলো কিন্ডারগার্টেনসহ বেসরকারি বিদ্যালয়। কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশের নিবন্ধন নেই। ইচ্ছেমতো তারা চলছে। আগে একটি বিধিমালা থাকলেও সেটি বাস্তবে কাজে দেয়নি।
এখন সেটিকে আরও যুগোপযোগী করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে বেসরকারি বিদ্যালয় চালাতে হলে নির্ধারিত শর্ত মেনে নিবন্ধন ও শিক্ষাবিষয়ক (একাডেমিক) স্বীকৃতি লাগবে। তা ছাড়া চালানো যাবে না। শিক্ষাবিষয়ক স্বীকৃতি দেবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং নিবন্ধন দেবে প্রাথমিকের বিভাগীয় উপপরিচালক।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার অগ্রগতির বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক শিক্ষাসচিব বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা কাজ করছেন। নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি পর্যায়ে স্কুলের সংখ্যা একটু কমে গিয়েছিল। এ বছর ৮০০-এর মতো বেড়েছে, সব মিলিয়ে ৪৪ হাজারের কাছাকাছি হবে। বিধিমালা জারির পর মাঠপর্যায়ে যে কাজ হচ্ছে, সে অনুযায়ী ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ বেসরকারি পর্যায়ের স্কুল (কিন্ডারগার্টেন) একাডেমিক স্বীকৃতি বা নিবন্ধনের আওতায় চলে এসেছে। তাঁরা আশাবাদী, আগামী এক বছরের মধ্যে যে লক্ষ্যমাত্রা, তাতে সব বেসরকারি প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুল একাডেমিক স্বীকৃতি ও নিবন্ধনের আওতা চলে আসবে।
এ বিষয়ে সচিব আরও বলেন, মাত্র দু–তিন মাস আগেও নিবন্ধন হার ছিল ৮ থেকে ৯। এখন ২০ শতাংশ নিবন্ধন বা একাডেমিক স্বীকৃতির আওতায় চলে এসেছে। তাঁদের লক্ষ্য, আগামী এক বছরের মধ্যে সব বেসরকারি পর্যায়ের স্কুল একাডেমিক স্বীকৃতি বা নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে।