দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের (সরকারিকরণ) দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলা শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁরা অষ্টম দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছেন।
আজ দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য শিক্ষক অবস্থান করছেন। দাবি আদায়ের পক্ষে অনেকেই স্লোগান দিচ্ছেন। নেতাদের কেউ কেউ বক্তব্য দিয়ে দাবির সমর্থনে যুক্তি তুলে ধরছেন। অবস্থান কর্মসূচির কারণে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওসার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এর একটি সমাধান না হবে, তত দিন পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনাও চলবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ডাকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা।
প্রথমে কিছুসংখ্যক শিক্ষক এ কর্মসূচি শুরু করলেও গত রোববার থেকে বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রেখে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচি শুরু করেছে। দাবি আদায়ের ঘোষণা না এলে সামনে আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচিও আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
গতকাল সোমবার আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বলছেন, এ আলোচনা শুরু হওয়াটা তাঁদের আন্দোলনের একটি অগ্রগতি। এখন আলোচনাও চালিয়ে যাবেন, পাশাপাশি আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিগগির শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে তাঁদের একটি আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বর্তমানে সারা দেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ২০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৮৪টি, বাকিগুলো বেসরকারি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২। মোট শিক্ষক আছেন পৌনে তিন লাখের মতো।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই এমপিওভুক্ত। এর মানে হলো এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে বেতনের মূল অংশসহ কিছু ভাতা পান। দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।