আসন্ন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২৬ মে। চলবে আগামী ১১ জুন। আর ভর্তির কাজ শেষ একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে এই ভর্তির কাজটি হয়।
আগের মতো এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অবশ্য ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে।
ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
গত রোববার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো।
সরকারের জারি করা ভর্তি নীতিমালায় ভর্তিতে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত টাকা নেওয়া যাবে, তা–ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৫ হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্সল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া যাবে।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত নয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাংলা ভার্সনে সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে ৮ হাজার টাকা; ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার বাংলা ভার্সনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্সল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা করে নেওয়া যাবে।
এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়ন করার সময় শিক্ষার্থীপ্রতি বিভিন্ন খাতে (যেমন রেজিস্ট্রেশন ফি, ক্রীড়া ফি) সর্বমোট ৩৩৫ টাকা নিতে পারবে।