লটারিতে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ল

প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে শূন্য আসনের তথ্যসহ রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বাড়িয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী সোমবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এর আগে রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময় ছিল গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে

মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনসহ অন্য তথ্য দাখিলের সময়সীমা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সময়সীমা ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

তথ্য পাঠাতে যে বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে—

১.

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বশেষ ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে রেজিস্ট্রেশন ফরমে কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাঠাতে হবে।
২.

শ্রেণি বা শাখার বিপরীতে শিক্ষার্থীর চাহিদাসংখ্যা কোনোভাবেই ৫৫ জনের বেশি প্রদান করা যাবে না।
৩.

তথ্য ফরমে ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে (পুলিশ স্টেশন) ক্যাচমেন্ট হিসেবে এরিয়া নির্ধারণ করবেন।
৪.

তথ্য ফরমের ব্যাংক–সংক্রান্ত তথ্যে অবশ্যই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর ও রাউটিং নম্বর দেবেন। কোনো প্রকার অ্যানালগ নম্বর দেওয়া যাবে না।
৫.

রেজিস্ট্রেশন ফরমে ভুল তথ্য দিলে ও এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে কোনো জটিলতা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে ১২ নভেম্বর থেকে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে ভর্তির লটারি।

প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।

এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেমন এত দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত হলো, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে; না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে।