ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের (স্নাতক) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে আসনসংখ্যা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং যুগের চাহিদা বিবেচনায় আসনসংখ্যায় এই পরিবর্তন আনা হবে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপাচার্য।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবনের কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য মাকসুদ কামাল, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রমুখ। পরিদর্শন শেষে এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা আসনসংখ্যাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বিবেচনায় রেখেই আমরা কতজন ভর্তি করাব, সেটি নির্ধারণ করতে হবে।’
পরে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং যুগের চাহিদা বিবেচনায় আসনসংখ্যার যৌক্তিকীকরণ করা হবে। আমরা চাই, শিক্ষা শেষে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী যেন বেকার না থাকে। সেই চিন্তা মাথায় রেখে যে বিভাগ-ইনস্টিটিউটে আসন বাড়ানো প্রয়োজন, সেখানে বাড়ানো হবে; যেখানে কমানো দরকার, সেখানে কমানো হবে।’
এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৩৭ হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ হাজার ১১০ জন ঢাকায় এবং ১১ হাজার ৫০০ জন অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৬ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১০০–এর বেশি আসন কমানো হয়েছে৷ এবার ৫ হাজার ৯৬৫ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।