ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষা হবে চারটি ইউনিটে, যা এত দিন পাঁচটি ইউনিটের অধীন হয়ে এসেছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের এ ভর্তি পরীক্ষাকে এখন থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা নামে অভিহিত করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব বিষয় চূড়ান্ত হয়। গত বছরের প্রথম ভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আসন্ন (২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষার ইউনিটগুলোর নাম হচ্ছে—বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, চারুকলা ইউনিট এবং কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল চারুকলা ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ৬ মে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিট এবং ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষার এ তারিখই চূড়ান্ত। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে এখন থেকে এই পরীক্ষাকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা বলা হবে। তবে ডিগ্রির নাম (বিবিএ, বিএসএস, বিএ, বিএসসি) অপরিবর্তিত থাকবে।
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘এত দিন আমরা বলতাম, স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। যখন বিভিন্ন কলেজ থেকে স্নাতক পাস করে বা ডিগ্রি পর্যায় থেকে এসে অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতেন, তখন যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়া ব্যক্তিদের আলাদা করার জন্য বা তাঁদের প্রতি বিশেষ মনোযোগের জন্য স্নাতক (সম্মান) শব্দটা ব্যবহার করা হতো। এখন আন্তর্জাতিকভাবে এই ডিগ্রিকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম বলা হয়। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এখন থেকে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা নামে অভিহিত করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ভবিষ্যতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সভায় ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার একটি সুপারিশ আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে পরবর্তী সময় বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুপারিশটি সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সভায় অন্যদের মধ্যে এ এস এম মাকসুদ কামাল ছাড়াও সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনুষদগুলোর ডিন, ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালক, হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ এবং বিভাগগুলোর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।