জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে (৫৩ ব্যাচ) স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা করেছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৯ জন। এ হিসেবে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০৭ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। এ শিক্ষাবর্ষে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ‘ডি’ ইউনিটে। আর সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছে (আইবিএ-জেইউ) ইউনিটে। গত বছর এই আসন সংখ্যার বিপরীতে আবেদন পড়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৭ জন। সে হিসেবে এ বছর ৫২ হাজার ৪৯৮টি আবেদন কম পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন শুরু হয় যেটা শেষ হয় গত ৩১ জানুয়ারি ১১টা ৫৯ মিনিটে। এবার ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি যা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট সাতটি ইউনিটের অধীনে ৩৪টি বিভাগ এবং তিনটি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি ৬৯ হাজার ২৮১টি আবেদন জমা পড়েছে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে। আর সবচেয়ে কম ৩ হাজার ৫১৯টি আবেদন জমা পড়েছে ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ) ইউনিটে।
এ ছাড়া গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৫০ হাজার ৩১২টি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ১৭ হাজার ৬৫৪টি, কলা ও মানবিক অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৩৯ হাজার ৭৩৮টি, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে ১২ হাজার ৬৪৫টি, ‘সি–১’-ইউনিটের অধীন নাটক ও নাট্যতত্ব এবং চারুকলা বিভাগে ৪ হাজার ২১০টি আবেদন জমা পড়েছে।
ভর্তি পরিচালনা কমিটি সূত্র জানায়, এবার পালা পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৫৫ মিনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তি-ইচ্ছুকদের ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনী এ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২০ নম্বর কাটা যাবে। ৮০ নম্বরের সঙ্গে ভর্তি-ইচ্ছুকদের এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে ২০ নম্বর যোগ হয়ে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে।
গতবারের চেয়ে এ বছর আবেদনের সংখ্যা কমের কারণ কী হতে পারে, জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, ‘এবারের বি ইউনিটে আবেদনের শর্তাবলি গতবারের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে, সে কারণে এই ইউনিটে আবেদন কম পড়েছে বলে ধারণা করছি। বাকি ইউনিটে গতবারের চেয়ে এবারের আবেদন খুব বেশি পার্থক্য হয়নি।’