ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের বিপরীতে চারটি ইউনিটের মাধ্যমে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ২ শিক্ষার্থী। সে হিসাবে আসনপ্রতি প্রতিযোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৭। আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে এই ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে ৯ মার্চ।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আবেদন চলে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আবেদন ফি ছিল ১ হাজার ৫০ টাকা। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা, ১ মার্চ বিজ্ঞান ও ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয় ও জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫ জন (আসনপ্রতি প্রতিযোগী ৩৮ জন)। বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮০ জন (আসনপ্রতি ৬৬ জন)। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১ হাজার ৫০ আসনের বিপরীতে ৩৭ হাজার ৬৬০ জন (প্রতি আসনে ৩৬ জন) আর চারুকলা ইউনিটে ১৩০ আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ৩৭ জন আবেদন করেছেন (আসনপ্রতি ৫৪ জন)। সংশ্লিষ্ট তারিখে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইউনিটগুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি ইউনিটের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর আগের শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ইউনিট ছিল পাঁচটি। তখন ইউনিটগুলোর নাম ছিল: ক, খ, গ, ঘ ও চ৷ এর পাশাপাশি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা নামে এ পরীক্ষার নামকরণ করা হয়। তার আগে এই পরীক্ষার নাম ছিল স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
গত মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য ইউনিটগুলোতে ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় থাকবে। অন্য ইউনিটগুলোতে বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে থাকবে ২০ নম্বর।