ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তিতে গত সোমবার (৪ নভেম্বর) থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। এ জন্য ভর্তি-ইচ্ছুকদের ছয়টি বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনের জন্য লিংক ঢুঁ মারতে হবে শিক্ষার্থীদের। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করবেন, কেবল তাঁরাই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয়বার ভর্তিতে আবেদনের সুযোগ থাকছে না।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, চারুকলা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) ও আইবিএ—৫ ইউনিটে ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সতর্কতাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে:
১.
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে টাকা জমার রসিদ ডাউনলোড করলে শিক্ষার্থীর আবেদন সম্পন্ন হয়। টাকা জমা দেওয়ার পর শিক্ষার্থী রসিদ ডাউনলোড না করে থাকলে তাঁর আবেদনটি অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়ে যায়। তাই শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধের পর রসিদ ডাউনলোড করে আবেদনটি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
২.
ফি জমা দেওয়ার পরে (অনলাইনে ৫-১০ মিনিট পরে এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া হলে ৪৮ ঘণ্টা পরে) কোনো কারণে ফি জমার রসিদ ডাউনলোড করা না গেলে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে:
ক. অনলাইনে ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনার প্রদত্ত ই-মেইলটি খুলুন ও সেখানে ‘সূর্য-পে’ বা ‘এসএসএল কমার্স’ কর্তৃক প্রেরিত একটি ই-মেইল দেখুন। ই-মেইলে সংযুক্ত পিডিএফটি ডাউনলোড করুন এবং নিচের তথ্যগুলো দিয়ে আপনার টাকা পরিশোধের দাবি করুন।
অ) ‘সূর্য-পে’-এর মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে থাকলে পিডিএফ ফাইলটির ইনভয়েস নম্বর ও মার্চেন্ট অর্ডার আইডি দিয়ে দাবি করুন।
আ) ‘এসএসএল কমার্স’-এর মাধ্যমে টাকা জমা করে থাকলে এমটিআই দিয়ে দাবি করুন।
খ) ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে থাকলে আপনি যে ব্যাংকের যে শাখায় টাকা জমা করেছেন, সেখানে আবার গিয়ে সেই ব্যাংকের হেড অফিসের আইটি ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে বলুন।
৩.
শিক্ষার্থীকে (বা তাঁর পিতা/মাতা) নিজে আবেদন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। কোনো কারণে নিজে করতে অপারগ হলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে অনলাইনে আবেদনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অতীতে অনেক শিক্ষার্থী নিজে উপস্থিত না থাকায় যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁর অবহেলায় আবেদন সম্পন্ন হয়নি।
৪. শিক্ষার্থীর নিজ (অথবা পিতা/মাতার) মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএস করে অস্থায়ী পাসওয়ার্ডটি সংগ্রহ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফিরতি এসএমএসে প্রাপ্ত পাসওয়ার্ডটি সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যের মোবাইল নম্বর থেকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করায় শিক্ষার্থীকে অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় থেকে ওই পাসওয়ার্ডটি আর প্রয়োজন হবে না।
৫.
আবেদনের সময়ের সঙ্গে কোনো একটি অঞ্চলের আসনসংখ্যার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রথম দিন ও শেষ দিনের আবেদনকারীর পরীক্ষার আসন পাশাপাশি হতে পারে। আবার একই সময়ে আবেদন করা দুই শিক্ষার্থীর আসন দুটি ভিন্ন স্থানে হতে পারে। তাই তাড়াহুড়ো করে আবেদন না করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তবে শেষ দিনে আবেদনের জন্য ফেলে না রাখা উত্তম।
৬.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (যেমন ফেসবুক/মেটা, টুইটার/এক্স, লিঙ্কডইন ইত্যাদি) ব্যবহার করে তথ্য প্রচার করে না। সরাসরি কোনো এসএমএসের মাধ্যমে কোনো তথ্যও কাউকে প্রদান করে না এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছাড়া অনলাইনে/ব্যাংকিং চ্যানেল বা বিকাশ/নগদ/রকেট ইত্যাদি মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে কোনো টাকা জমা নেয় না। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সব শিক্ষার্থীকে সজাগ থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
৪ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে আবেদন চলছে। ২৫ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। আবেদন ফি ১০৫০ (এক হাজার পঞ্চাশ) টাকা এবং আইবিএ ইউনিটের আবেদন ফি ১৫০০ (এক হাজার পাঁচ শ) টাকা। চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী) যেকোনো শাখায় অথবা অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
১. কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ২৫ জানুয়ারি
২. বিজ্ঞান ইউনিট: ১ ফেব্রুয়ারি
৩. ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ৮ ফেব্রুয়ারি
৪. চারুকলা ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন): ৪ জানুয়ারি
৫. আইবিএ ইউনিট: ৩ জানুয়ারি।
সব ইউনিটের পরীক্ষা (আইবিএ ছাড়া) শুরু হবে বেলা ১১টায়। পরীক্ষা চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীরা ৫টি (পাঁচ) ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের যোগ্যতাসহ ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখ থাকবে।
* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আগ্রহী পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেখুন এখানে