কৃষিগুচ্ছে শূন্য ১৯৩ আসনে ভর্তি শুরু আজ, শিক্ষার্থীদের মানতে হবে যে যে নির্দেশনা

কৃষিগুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণির ১৯৩টি আসন এখনো শূন্য আছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণদের ভেতর থেকে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব শূণ্য আসনে আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকে এসব শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কৃষিগুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অটোমাইগ্রেশনের পর শূন্য আসনের জন্য অবশিষ্ট অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচিত প্রার্থীরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর উপস্থিত হয়ে ভর্তি নিশ্চিত ও অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৩টি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২টি আসন রয়েছে। এসব আসনের বিপরীতে শূন্য আসনসংখ্যার তিন গুণ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা—

১.

ভর্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের নিম্নবর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কমপ্লেক্সে (নিচতলা) সশরীর উপস্থিত হয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় জনবলসহ উক্ত সময়সূচি অনুযায়ী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

২.

ভর্তির সময় প্রার্থীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার মূল সনদ/ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র এবং চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে প্রদত্ত ছবির অনুরূপ) জমা দিতে হবে। কোটাসংক্রান্ত মূল কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জমা দিয়ে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

৩.

ভর্তি ফি বাবদ আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে।

নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর কোটাসংক্রান্ত কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করে তাঁদের ভর্তি সম্পন্ন করবে। কোটার সনদগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা হতে হবে।

ক. মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য মন্ত্রণালয় প্রদত্ত বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সনদ। মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনিদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার অমুক পুত্র/কন্যার সন্তান/নাতি-নাতনি—এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা সনদ।

খ. উপজাতি/ আদিবাসী কোটার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সনদ।

গ. প্রতিবন্ধী কোটার জন্য উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তার সনদ।

ঘ. হরিজন-দলিত কোটার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ।

ঙ. পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পোষ্যসংক্রান্ত সনদ।

চ. প্রবাসীর সন্তানের ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সনদ।

ছ. বিকেএসপির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সনদ।

জ. ছিটমহলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন প্রদত্ত সনদ।

  • নতুন মেধাতালিকায় শূন্য আসনের সংখ্যা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।