২০২৪ সালে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় এ লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এখন খুদে বার্তায় ফল পেতে থাকবে শিক্ষার্থীরা।
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায় ৬৫৮টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর থেকে। আবেদন চলে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। দেশের ৩ হাজার ৮৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ লাখ ৬০ হাজার ৯টি শূন্য আসন আছে। এসব শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি আবেদন করা হয়েছে। আবেদন থেকে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি করা হয়েছে। শিক্ষার্থী নির্বাচনের লটারির এ অনুষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোয় সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।