কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার ভর্তি কার্যক্রম শুরু, সুযোগ ৮০ শিক্ষার্থীর

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুড়িকৃবি) ক্যাম্পাস অবশেষে শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হতে যাচ্ছে। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো এ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সাদেকুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর কৃষি গুচ্ছের আওতায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আজ থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন। আগামী জানুয়ারি মাসে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর অ্যাগ্রিকালচার ও ফিশারিজ অনুষদে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ পাবেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৮০ আসনে ভর্তির সুযোগ থাকলেও প্রথম পর্যায়ে অ্যাগ্রিকালচার অনুষদে ৩২ জন এবং ফিশারিজ অনুষদে ২২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য রাখা হয়েছে। ফাঁকা আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২২ ডিসেম্বর ভর্তি করা হবে।

কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণে নালিয়ারদোলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়া পর্যন্ত কুড়িগ্রাম শহরের ভোকেশনাল মোড়ে একটি অস্থায়ী প্রশাসনিক ভবন ও টেক্সটাইল মোড় রেলগেট–সংলগ্ন এলাকায় একটি অস্থায়ী একাডেমিক ভবন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আপাতত এসব অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সাদেকুজ্জামান বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়া পর্যন্ত ভাড়া ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবার ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা আগামী জানুয়ারি মাস থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করার চিন্তা করে এগিয়ে যাচ্ছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সময়স্বল্পতার কারণে যদি শিক্ষক নিয়োগ দিতে বিলম্ব হয়, তবে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করে খণ্ডকালীন অতিথি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান শুরু করা হবে। এ ছাড়া যেহেতু এ বছর আমাদের দুই ফ্যাকাল্টি মিলে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবে, তাই প্রতি ফ্যাকাল্টিতে অন্ততপক্ষে একজন করে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’