মেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা, আজ জুমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠেয় এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিতব্য এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভা ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে রোববার দুপুর ১২টায় জুম অ্যাপে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চ্যুয়াল সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

আসন বেড়েছে ১০৩০টি

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত সভা শেষে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে আসন বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ১ হাজার ৩০টি আসন বেড়েছে। এর ফলে এবার সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৩৭৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

এমবিবিএস ও বিডিএসে পাস নম্বর ৪০

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় তিনবার পাবেন শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সব কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।

দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের কত নম্বর কাটা

২৪ ডিসেম্বরের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, অনেকেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন। পরবর্তী সময় ভালো কোথাও ভর্তির সুযোগ পেলে আগের আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এতে সরকারের অর্থ অপচয় হয়। এ বিষয়ে কঠোরতার জন্য মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ১৫ নম্বর কাটা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সবার পরামর্শে ১০ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নেই, এমন শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য আগের মতো ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।

জানা গেছে, মেডিকেলের মোট আসনের ২০ শতাংশ বরাদ্দ থাকে জেলা কোটায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের জন্য। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ সুযোগ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।