শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৫) জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ১২ নভেম্বর থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এবার ভর্তির প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্য আসনসহ অন্যান্য তথ্য পাঠানোর সময় বেঁধে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ৩০ অক্টোবর এ–বিষয়ক তথ্য পাঠানো শুরু হয়েছে আর ৮ নভেম্বরের মধ্যে তথ্য পাঠাতে হবে। gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তথ্য পাঠাতে হবে।
১.
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বশেষ ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে রেজিস্ট্রেশন ফরমে কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাঠাতে হবে।
২.
শ্রেণি বা শাখার বিপরীতে শিক্ষার্থীর চাহিদা সংখ্যা কোনোভাবেই ৫৫ জনের বেশি প্রদান করা যাবে না।
৩.
তথ্য ফরমে ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে (পুলিশ স্টেশন) ক্যাচমেন্ট হিসেবে এরিয়া নির্ধারণ করবেন।
৪.
তথ্য ফরমের ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যে অবশ্যই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর ও রাউটিং নম্বর দেবেন। কোনো প্রকার অ্যানালগ নম্বর দেওয়া যাবে না।
৫.
রেজিস্ট্রেশন ফরমে ভুল তথ্য দিলে ও এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে কোনো জটিলতা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে ১২ নভেম্বর থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে ভর্তির লটারি।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।
এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেমন এত দিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত হলো মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে; না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে।