পেছাতে পারে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির ষষ্ঠ সভায় (জরুরি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদনে সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত চলবে। এরপর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পেছাতে হতে পারে।
আজ শনিবার ভর্তি কমিটির সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

ওহিদুজ্জামান বলেন, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা বিবেচনা করে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে পেছানোর সিদ্ধান্ত পরবর্তী ভর্তি কমিটির সভায় নেওয়া হতে পারে। চলমান করোনা সংক্রমণের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।

ভর্তি কমিটির সচিব বলেন, শিক্ষার্থীদের তাঁদের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ভালো করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা পছন্দের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন, তাই তাঁদের তারিখ দেখে বসে থাকা ঠিক হবে না। বাড়তি সময়কে কাজে লাগিয়ে প্রস্তুতি আরও বেশি নিতে হবে।

সমন্বিত ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক আবেদন ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী একটিমাত্র পরীক্ষা দিয়েই (মেধার ভিত্তিতে) যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি পরীক্ষা হবে। আগামী ১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ দেড় লাখ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হবে

নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। তবে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৮.০০ এবং শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। এবং মানবিক শাখায় মোট জিপিএ-৬ এবং বাণিজ্য শাখায় জিপিএ-৬.৫০ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদা করে ন্যূনতম জিপিএ-৩ থাকতে হবে। দেড় ঘণ্টা সময়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি বিভাগের পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করে ওয়েবসাইটে (gstadmission.org) প্রকাশ করা হবে। এরপর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের শর্ত উল্লেখ করে আবেদন আহ্বান করবে এবং মেধাক্রম অনুসারে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

গুচ্ছ পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।