একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু হয়েছে আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ চলবে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুসারে ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে আগামী শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন ৫ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে ২য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে।
ভর্তির জন্য মনোনয়ন পাওয়া শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হয়েছে ২৬ থেকে ৩০ আগস্ট রাত ৮টার মধ্যে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ ও টেলিটকের মাধ্যমে ২০০ টাকা ফি জমা দিয়ে সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। এ ছাড়া সোনালী সেবা ও সোনালী ওয়েব পেমেন্টের মাধ্যমে ২০০ টাকা ভর্তি নিশ্চায়ন ফি দেওয়া যাবে।
করোনার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয় গত ৯ আগস্ট সকালে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে ভর্তি কার্যক্রম।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল এবং ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে আর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়। ভর্তি চলবে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় এবারও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলেজ ও মাদ্রাসার ভর্তির কাজটি হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন করতে হয়েছে এই ঠিকানায়। আর টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস করে আবেদন করা গেছে। পছন্দক্রম দিয়ে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পেরেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার কোটা ছাড়া অন্য কোটা থাকবে না। তবে প্রতিবন্ধী, বিকেএসপির শিক্ষার্থী, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য সাফল্যের অধিকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ জন্য তাদের সনাতন (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী, যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছে।
ঢাকা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ভর্তির জন্য আসন আছে ২২ থেকে ২৩ লাখ। তাই উচ্চমাধ্যমিকে আসন নিয়ে সমস্যা হবে না। কারণ আসন খালি থাকবে। তবে সংকট হলো, ভালো কলেজগুলোতে আসন কম। সেখানেই হবে তীব্র প্রতিযোগিতা।
চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও দাখিল ভকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ৯৫ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আলাদাভাবে এইচএসসি ভকেশনাল, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করছে।
সে হিসাবে এসএসসি ও দাখিল পাস করেছে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৮ জন, যাদের মধ্যে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩ জন প্রথম ধাপে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। সে হিসাবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৩১ জন শিক্ষার্থী ১ম ধাপে এইচএসসি বা আলিমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেনি।