দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বুধবার ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ক্যাডার-বৈষম্য, পদোন্নতিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে চলছে এই কর্মবিরতি। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে দেশের সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় এ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। তিন দিনের টানা কর্মবিরতি আগামীকাল বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে।
এ কর্মবিরতির কারণে সরকারি কলেজগুলোতে ক্লাস হচ্ছে না। পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন না।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলেনি। আগামীকাল কর্মবিরতি শেষ হওয়ার পর সমিতির নির্বাহী কমিটির সভা করে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবীর চৌধুরী ও সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করেছিলাম, কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।’
এর আগে একই দাবিতে ২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।