শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা ভীষণ খুশি। শিক্ষকদের একটি বড় অংশও খুশি। কেউ কেউ বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে। এর মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দল, কিছু ধর্মীয় দল, কোচিং ও নোট-গাইড বই ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তি এবং কিছু শিক্ষক যাঁরা কোচিং করান, তাঁরা নিজেদের স্বার্থহানির আশঙ্কায় এই শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করছেন।
আজ সোমবার ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে লেখকদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এই কর্মশালা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা পেছনে ফেরত যাব না। সামনে যাব। দুই শ বছর ধরে আমরা প্রশ্ন ও উত্তর প্রদাননির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়েছিলাম। যার ফলে মুখস্থবিদ্যার প্রচলন হয়েছে। আমাদের শিক্ষাকে আনন্দময় করা এবং শিক্ষার্থীদের ভাবতে শেখানো, বিশ্লেষণ করতে শেখানো, সবাই মিলে করা—এসব বিষয় নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, স্বরোচিষ সরকার, নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট লেখকেরা। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।