ঢাকার হাজারীবাগের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী পৌনে তিন শর বেশি। কিন্তু আজ মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে এসেছিল মাত্র চারজন শিক্ষার্থী। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আজই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ভয়–আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কমবেশি হাজারীবাগের ওই বিদ্যালয়টির মতো। স্কুল খুললেও কোথাও উপস্থিতি নেই, কোথাও নামেমাত্র। হাজারীবাগের ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানালেন, তাঁরা শিক্ষকেরা ঠিকই উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থী এসেছিল মাত্র চারজন। তাদেরই পড়িয়েছেন।
রাজধানীর উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানালেন, তাঁদের বিদ্যালয়ের অফিস খোলা ছিল, শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে আজ ক্লাস হয়নি। আগামীকাল থেকে ক্লাস হবে।
চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের একপর্যায়ে সংঘাত–সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রথমে ৪ আগস্ট থেকে ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদী পৌরসভা বাদে বাকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও সেটিও বন্ধ করা হয়।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির মুখে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।