কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: কথাসাহিত্যিককে নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন করার তদন্ত হচ্ছে

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রশ্নপত্রে মুদ্রণজনিত ত্রুটির কারণে এক বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা এবং আরেক বিষয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হককে নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন করার ঘটনা তদন্ত করছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষার একাদশ শ্রেণির বাংলা-১ (নতুন ও পুরোনো পাঠ্যসূচি)-এর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গত রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে এ ঘটনা ঘটে। বোর্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এইচএসসির (বিএমটি) একাদশ শ্রেণিতে দুই ধরনের পরীক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু ভুলবশত নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছে পুরোনো পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। আর পুরোনো (অনিয়মিত) পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছে নতুন পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। বিষয়টি জানার পরপর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

একই দিনে অনুষ্ঠিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় বাংলা-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্রে লেখক-কথাসাহিত্যিক আনিসুল হককে নিয়ে এমনভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, যাতে তাঁকে হেয় করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।

এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান আজ প্রথম আলোকে বলেন, একাদশ শ্রেণির বাংলা-১-এর পরীক্ষা স্থগিত করার বিষয়ে বোর্ডের সচিবকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরে ওই কমিটিকে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় বাংলা-২ পরীক্ষায় বিতর্কিত একটি প্রশ্ন করার বিষয়টিও তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন এসব হলো, তা তদন্ত করে তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও চার পরিশোধনকারীর (মডারেটর) বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। এ কমিটির প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড। তদন্ত কমিটির প্রধান যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক এম রব্বানী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। বিতর্কিত প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কাজে যুক্ত ওই পাঁচ শিক্ষকের সঙ্গেই কথা বলবেন তাঁরা। নির্ধারিত ৫ কর্মদিবসের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।