সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ শীর্ষক বহুল আলোচিত গল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার পরিবর্তে নতুন আরেকটি গল্প সংযোগ করা হবে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এনসিটিবির সূত্রগুলো বলছে, এ বছর যেহেতু শিক্ষাবর্ষের অর্ধেক চলে গেছে, তাই আগামী বছরের পাঠ্যবইয়ে নতুন গল্প রাখা হবে। আর চলতি বছর হয়তো বিদ্যমান গল্পটি পড়ানো হবে না।
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ শীর্ষক হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ রয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক খণ্ডকালীন শিক্ষক এক অনুষ্ঠানে ওই বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুর রশীদ।
ওই কমিটি মে মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। বিভিন্ন ভুল উল্লেখ করে কমিটির পক্ষ থেকে গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
জানা গেছে, ৪ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এনসিটিবির কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে আলোচিত গল্পটি বাদ দিয়ে সংশোধিত গল্প সংযোজন করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এই গল্পের পরিবর্তে অন্য গল্প সংযোজন করার জন্য জেন্ডার–বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়ারও পরামর্শ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আগামী বছরের পাঠ্যবইয়ে নতুন গল্প যুক্ত করা হবে। তবে গল্পটি পরিবর্তন করলেও ক্ষতি হবে না। শিখনফল অর্জনের বিষয় অক্ষুণ্ন থাকবে।