অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, ‘ফজলে হাসান আবেদ মানুষের জীবনে পরিবর্তন চেয়েছেন। সেই পরিবর্তন ছিল মানুষের জীবনমানে গুণগত পরিবর্তন। যা করতে চেয়েছেন, তিনি তা করেছেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই থেমে যাননি, বাস্তবায়নে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে স্যার ফজলে হাসান আবেদের চিন্তা, আদর্শ ও কৃতিবিষয়ক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রথম সহ-উপাচার্য সালেহউদ্দীন আহমেদ। বিশিষ্ট প্যানেলিস্ট হিসেবে ব্র্যাক গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মনজুর আহমেদ এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী বক্তব্য দেন। সভার আয়োজন করে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টিকে থেকে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম, এ ধারণা থেকেই স্যার আবেদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘মানুষকে কেন্দ্রে রেখে উন্নয়ন চিন্তা করতেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শিক্ষার বহুমাত্রিকতাকে ধারণ করে কাজ করে গেছেন তিনি। চলে যাওয়ার পরও আবেদ ভাই প্রাসঙ্গিক, আমরা তার দেখানো পথে কাজ করে যাব।’
রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন, ‘অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন আবেদ ভাই। যেকোনো সমস্যা সমাধানে তিনি গবেষণাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন।’ স্যার আবেদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘আবেদ ভাই শেষ বিদায়ের আগে বলেছিলেন, শিক্ষায় অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, হাল ছেড়ো না। মৃত্যুপথযাত্রী একজন ব্যক্তি মৃত্যুযন্ত্রণা নিয়ে কথা না বলে শিক্ষার উন্নয়নে কথা বলেছেন।’
মনজুর আহমেদ বলেন, ‘স্যার আবেদের কর্মপরিধি ব্যাপক। কিন্তু তাঁর দর্শন ছিল শিক্ষাকে নিয়েই এগোতে হবে।’
সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সব সময় মানুষের কথা শুনতেন আবেদ ভাই। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন শিক্ষার উন্নয়নকে।’