২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

এ বছর ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। তিন বিভাগের জন্য তিনটি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে আগামী ৩, ১০ ও ১৭ সেপ্টেম্বর। তবে কোন তারিখে কোন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) পরীক্ষা হবে সেটি এখনো ঠিক করা হয়নি।

আজ শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বছর ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা হবে। গত বছর এ ধরনের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় একই গুচ্ছে থেকে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিল। এবার দুটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছে যুক্ত হয়েছে। এই গুচ্ছে থাকা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ছাদেকুল আরেফিন সম্ভাব্য ওই তারিখ ঠিক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ( ইউজিসি) ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এবার দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর মধ্যে ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১টি গুচ্ছে, ৩টি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটি গুচ্ছে এবং কৃষি ও কৃষিশিক্ষা প্রধান বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরেকটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আটটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করেই আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে।

গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি–ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী একটি পরীক্ষা দিয়েই তাঁর যোগ্যতা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী গুচ্ছে থাকা যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন।

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অবশ্য গেলবারের ভর্তি নিয়েও কিছু সংকট সমাধানে এবার ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ নির্বাচন করে দেওয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাইগ্রেশন শেষ করা এবং ভর্তিতে কেবল যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হবে, সেখানকার জন্যই টাকা নেওয়া, ভর্তি ফি যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করাসহ কয়েকটি পরামর্শ করেছে ইউজিসি ।