স্মার্টওয়াচের ব্যবহার বাড়ছে
স্মার্টওয়াচের ব্যবহার বাড়ছে

স্মার্টওয়াচ এখন অত্যাবশ্যক হয়ে উঠছে

বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইসের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্মার্টওয়াচ। মানুষ নিজের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখতে ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে নানা ধরনের প্রযুক্তিগত টুল বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করছে। এমনই একটি টুল হচ্ছে হৃৎস্পন্দন পর্যবেক্ষণের টুল বা হার্ট রেট মনিটরিং টুল। বাজার গবেষকেরা বলছেন, এ টুল এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে যত স্মার্টওয়াচ বিক্রি হচ্ছে, তার ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ফিচারটি যুক্ত থাকে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যৎ স্মার্টওয়াচের মডেলগুলোয় জরুরি ফিচার হয়ে আসতে পারে ফল ডিটেকশন বা পতন শনাক্তকারী ফিচার ও রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নির্ণয় করার (এসপিওটু) ফিচার। স্মার্টওয়াচে এ ধরনের ফিচার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে দেখা যাবে।

গবেষণা পরিচালক জেফ ফিল্ডহ্যাক বলেছেন, আধুনিক স্মার্টওয়াচে ব্যাটারির আয়ু বেড়েছে এবং প্রসেসিং ক্ষমতা উন্নত হয়েছে। ফলে, ক্রমাগত হৃৎস্পন্দন নির্ণয়, ঘুমসহ অন্য শারীরিক বিষয়গুলো এ যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। চার্জ নিয়ে চিন্তায় থাকতে হচ্ছে না।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গ্যালাক্সি ওয়াচ থ্রি নামের যে ডিভাইস ছেড়েছে, তাতে ইসিজি (ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম) ফিচার যুক্ত রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকেদের চোখে বর্তমানে স্মার্টওয়াচের বাজার দখলে রেখেছে অ্যাপল।

তাদের পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য বাজারের সেরা। অ্যাপলকে টেক্কা দিতে স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি ওয়াচ থ্রিতে রক্তে অক্সিজেন মাপার সুবিধা, পতন শনাক্তের ফিচার, রক্তচাপ নির্ণয় ও ইসিজির মতো ফিচার যুক্ত করেছে।

গবেষক ফিল্ডহ্যাক বলেন, ‘সৌরশক্তিতে চার্জ দেওয়া প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়লে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতারা আরও উন্নত স্বাস্থ্যতথ্য পর্যবেক্ষণসুবিধা দিতে পারবেন। আমরা ভবিষ্যতে ফিটনেস ও শরীর সুস্থ রাখার বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি দেখতে পাব বলে আশা করছি।’

বর্তমানে স্মার্টওয়াচের বাজারে অ্যাপল ওয়াচ ওএসের পরেই ১০ শতাংশ বাজার দখল করেছে গুগলের ওয়্যার ওএস। হুয়াওয়ের লাইট ওএম ও অ্যামাজফিটের অ্যামাজফিট ওএস দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর বাইরে ফোনের মতো কার্যক্রম চালাতে পারে—এমন স্মার্টওয়াচগুলো আরও জনপ্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে যেসব স্মার্টফোন আসছে, তার চার ভাগের এক ভাগ ফোন করার সুবিধাযুক্ত।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টওয়াচে স্মার্টফোনের সুবিধা যুক্ত হওয়ায় লাভ হচ্ছে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়ালকমের।
স্মার্টওয়াচের গঠনগত দিকেও এখন নজর দিচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।

বর্তমানে বর্গাকার স্মার্টওয়াচগুলো চলছে বেশি। বিশ্বের দুই–তৃতীয়াংশ স্মার্টওয়াচ এখন বর্গাকার। স্মার্টওয়াচ বর্গাকার হওয়ায় এর নির্মাতাদেরও সুবিধা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন সেনসর যুক্ত করার পাশাপাশি বড় ব্যাটারি যুক্ত করতে পারছেন। এতে দীর্ঘ সময় চার্জ ধরে রাখতে পারছে প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠা স্মার্টওয়াচ।