কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুকে টিকা দিতে গতকাল শুক্রবার নতুন প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছে কিউবা। করোনা সংক্রমণ বাড়ছে কিউবায়। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের সশরীরে স্কুলে ফেরাতে কিউবার কমিউনিস্ট সরকার এমন টিকাদান কর্মসূচি শুরু করল।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্কুলগুলো ধাপে ধাপে খুলতেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করল কিউবা। সরকারের পরিকল্পনা হলো অক্টোবরের মধ্যে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া।
প্রথম ধাপে ১২ ও এর বেশি বয়সী শিশুদের টিকা দেবে কিউবা। নিজ দেশে তৈরি দুটি টিকা—‘আবদালা’ ও ‘সোবেরানা’র মধ্যে যেকোনো একটি দেওয়া হবে তাদের। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ছোট শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে ২০২০ সালের মার্চে কিউবার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে এরপর থেকে দেশের টেলিভিশনে অনলাইন ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে সেখানে। তবে সব শিশুকে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত দেশটি দূরশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
শিক্ষার্থী লরা লান্তিগুয়ার বয়স ১৭। সে কিউবার রাজধানী হাভানায় সৌল দেলগাদো উচ্চবিদ্যালয়ে তিনটি টিকার প্রথম ডোজ নিতে এসেছিল। সে সময় লান্তিগুয়া এএফপিকে বলে, ‘আমি টিকা নিতে আগ্রহী।’ সে জানায়, চিকিৎসকেরা রক্তচাপ ও তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তাকে প্রথম ডোজ টিকা দেন। টিকা নেওয়ার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কি না, তা নিশ্চিত হতে তাকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়। লান্তিগুয়া বলে, ‘আমি স্বাভাবিক রয়েছি এবং ভালো বোধ করছি।’ গতকাল পর্যন্ত কিউবায় করোনায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।