যেসব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য রয়েছে, সেগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে নিয়োগ দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর লেখা এক চিঠিতে গতকাল মঙ্গলবার এ অনুরোধ করে ইউজিসি। এতে বলা হয়, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। বর্তমানে দেশের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য আছে। ফলে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিক উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকা বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য। কিন্তু ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশের ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টিতেই উপাচার্য নেই। এ ছাড়া কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়মিত উপাচার্য নেই। ফলে এগুলোর শিক্ষা কর্যাক্রমে সমস্যা হচ্ছে।
অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শীর্ষ পদে নিয়োগের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আইন অনুযায়ী, উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ—এ তিন পদের ক্ষেত্রেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ প্রস্তাবিত তিনটি নামের মধ্যে আচার্য ও রাষ্ট্রপতি একজনকে নিয়োগ দেন। এর আগে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই নিয়ম না মেনে নিজেরাই একজন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে মাসের পর মাস শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েন। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির সনদে মূল স্বাক্ষরকারী হলেন উপাচার্য। কিন্তু বৈধ উপাচার্য না থাকায় মূল সনদ পেতে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয়। যদিও সাময়িক সনদ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করা যায়। কিন্তু উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, আর্থিক বিষয়সহ অনেক ক্ষেত্রেই কাজ আটকে থাকে।