মুরাদ খিস্তিখেউড়ে সিনিয়রদের অতিক্রম করে গিয়েছিলেন: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

অশালীন মন্তব্যের জেরে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া মুরাদ হাসানের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘অবৈধ সরকারের মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিএনপি তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় করাই ছিল তাঁর (মুরাদ হাসান) একমাত্র কাজ। খিস্তিখেউড়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ তাঁর সিনিয়রদের (জ্যেষ্ঠ) অতিক্রম করে দিনে দিনে দুর্বিনীত হয়ে উঠেছিলেন।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে গতকাল সোমবার পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সন্ধ্যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। আজ মুরাদ পদত্যাগ করেছেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর করা অশ্লীল মন্তব্যকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যেই গতকাল ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

আজ রিজভী সংবাদ সম্মেলনে মুরাদ হাসান প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘নারীবিদ্বেষী, বর্ণবিদ্বেষী মুরাদের মানসিকভাবে বিকৃত বক্তব্য সারা জাতিকে হতবাক ও স্তম্ভিত করেছে। ওপর মহল থেকে আশকারা পেয়ে অসুস্থ মানসিকতার একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকলে ক্ষমতার অপব্যবহারে সে যে বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ সেটির একটি প্রমাণ। এ রকম একজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার আস্ফালনে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়।’

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার সব মৌলিক মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করে তাঁকে সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। বিদেশে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সূক্ষ্ম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জনমনে। বেগম খালেদা জিয়াকে যখন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি কারাগারের ভেতরে হেঁটে গেছেন। কিন্তু আজ কেন তাঁর এই ভয়ানক অবনতিশীল শারীরিক অবস্থা? এ প্রশ্নের জবাব সরকার, কারাগার ও পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একদিন দিতেই হবে।

রিজভী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।