ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিতলেন জিএসইএ অ্যাওয়ার্ড

জিএসইএ জাতীয় বিজয়ী নাজিবা নায়লা ওয়াফা। ছবি: সংগৃহীত
জিএসইএ জাতীয় বিজয়ী নাজিবা নায়লা ওয়াফা। ছবি: সংগৃহীত

কচুরিপানা থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি এবং সে কাজে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের ব্যবহার করার উদ্যোগ ‘রিসার্জেন্স’-এর জন্য গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাওয়ার্ডের (জিএসইএ) বাংলাদেশ পর্বের বিজয়ী হয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিবা নায়লা ওয়াফা। নাজিবা ২০১৯ সালে ম্যাকাওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়াজিএসইএ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ময়লা–আবর্জনা থেকে উপাদান নিয়ে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য (রিসাইকেল) করার প্রকল্প ‘ইন্সপায়ার’ এই প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছে।

গতকাল শনিবার ঢাকার জিপি হাউসে অনুষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের সংগঠন এন্ট্রাপ্রেনিউর বাংলাদেশের (ইও বাংলাদেশ) উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার জন্য তরুণদের বেশি বেশি করে উদ্যোক্তা–মানসিকতা গড়ে তোলার তাগিদ দেন। পাশাপাশি তিনি উদ্যোক্তাদের পথচলাকে মসৃণ করার জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন।

জিএসইএ জাতীয় বিজয়ী নাজিবা নায়লা ওয়াফা বলেন, ‘জিএসইএ আমার সামনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা আমার প্রতিনিয়ত আরও শেখার ও জানার এক অ্যাডভেঞ্চার।’

অনুষ্ঠানে জিএসইএ চেয়ারম্যান জেরিন মাহমুদ হোসেইন বলেন, ‘ইও বাংলাদেশ চতুর্থবারের মতো জিএসইএ জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করল। আমি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী উদ্যোক্তাদের মধ্যে জিএসইএর প্রতি ব্যাপক উৎসাহ দেখে এবং তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে আনন্দিত।’

উদ্যোক্তাদের সংগঠন এন্ট্রাপ্রেনিউর বাংলাদেশের (ইও বাংলাদেশ) উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জিপি হাউস, ঢাকা, ২৪ নভেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

ইও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ফারজানা চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের সব তরুণ উদ্যোক্তার প্রতি ইও বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন অফিসার কাজী মাহবুব হাসান এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনির হাসান।

বাংলাদেশের ২১ জন শিক্ষার্থী-উদ্যোক্তা এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জাতীয় সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে থেকে বিজয়ী পাঁচজন ফাইনালে অংশগ্রহণ করেন।