ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও সাত শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড (ডিবি)। এই অভিযোগে এর আগে ডিবির সুপারিশের ভিত্তিতে ৭৮ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের এক সভা থেকে আরও সাত শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের এই সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা দুজন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আগে দুই দফায় আজীবন বহিষ্কৃত ৭৮ জন, আজ বহিষ্কারের সুপারিশ হওয়া ৭ জন এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ২ জন—এই ৮৭ জনের প্রত্যেকেই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) করা মামলার আসামি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডির অভিযোগপত্রে থাকা ৮৭ দিনের মধ্যে ৭৮ জনকে আজীবন বহিষ্কারের পর এবার তাঁরা বাকি ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন। বাকি দুই শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা বোর্ডের আজকের সভায় এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাগুলোয় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ১৪৭ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া পরীক্ষার খাতায় অসংগতিপূর্ণ নম্বর দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষককে পরীক্ষাবিষয়ক কাজ থেকে তিন বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা বোর্ড। ওই তিন শিক্ষক হলেন অধ্যাপক এ এস এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক গোলাম আজম ও সহকারী অধ্যাপক মাইনউদ্দীন মোল্লা।