বাংলার কৃষক-মজুর-শ্রমিকের অতি আপনজন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। আজীবন নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মজলুম মানুষের সুখে-দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের কথা বলেছেন। সংগ্রাম করেছেন। এ জন্য তিনি মজলুম জননেতা। সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে আবদুল হামিদ খানের জন্ম হয় ১৮৮০ সালে। তাঁর বাবার নাম হাজি শরাফত আলী খান। মায়ের নাম মোসাম্মৎ মজিরন বিবি। অল্প বয়সেই তিনি পিতা–মাতাহীন হন। তাঁর এক চাচা ইব্রাহিম খান তাঁকে শৈশবে আশ্রয় দেন। এই চাচার কাছে থেকেই তিনি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। এ সময় তিনি ইরাক থেকে আগত এক পীর সাহেবের স্নেহদৃষ্টি লাভ করেন। তিনি তাঁকে ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন। এ সময় তিনি দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হন।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
নির্যাতিত, মজলুম, দরিদ্র, শৈশব, নিপীড়িত।
উত্তর
শব্দ―――――অর্থ
নির্যাতিত―――অন্যায়ের শিকার, নিপীড়িত, অত্যাচারিত।
মজলুম――――অত্যাচারিত, নির্যাতিত, জুলুমের শিকার যে বা যারা।
দরিদ্র――――গরিব, সহায়-সম্বলহীন, অসচ্ছল।
শৈশব――――বাল্যকাল, শিশুকাল।
নিপীড়িত―――নির্যাতিত, অত্যাচারিত, উৎপীড়নের শিকার যে বা যারা।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো
ক. মাওলানা ভাসানী কত সালে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মাওলানা ভাসানী ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
খ. মাওলানা ভাসানী কোন সময় থেকে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হন?
উত্তর: মাওলানা ভাসানী অল্প বয়সেই পিতা–মাতাহীন হন। তাঁর এক চাচা ইব্রাহিম খান তাঁকে শৈশবে আশ্রয় দেন। এই চাচার কাছে থেকেই তিনি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। এ সময় তিনি ইরাক থেকে আগত এক পীর সাহেবের স্নেহদৃষ্টি লাভ করেন। তিনি তাঁকে ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন। এ সময় থেকে তিনি দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হন।
গ. কেন মাওলানা ভাসানীকে মজলুম জননেতা বলা হয়?
উত্তর: বাংলার কৃষক-মজুর-শ্রমিকের অতি আপনজন ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। চিরকাল নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নির্যাতিত মানুষের সুখে-দঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের কথা বলেছেন, সংগ্রাম করেছেন। এ জন্যই তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হয়।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইলস লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
এই বিষয়ের প্রকাশিত পূর্বের পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ | পরবর্তী পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ