দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর রুদ্ধ দুয়ার খুলছে কাল মঙ্গলবার। হলে উঠতে এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। কাল সকাল আটটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হলে উঠতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৫ অক্টোবর সকাল আটটা থেকে হলে তোলা হবে।
তবে পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের বাসাভাড়া না দেওয়ার যুক্তি দিয়ে এরই মধ্যে হলে ওঠা শুরু করে দিয়েছেন এত দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকা শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ। গত শুক্রবার অমর একুশে হলের তালা ভেঙে হলে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি এসব শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন হলে অবস্থানকারীদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
এরই মধ্যে হলগুলোতে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। হলগুলোর দেয়াল চুনকামের পাশাপাশি শেষ হয়েছে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজও। ইতিমধ্যে হলগুলোতে গণরুম–সংস্কৃতির অবসানের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন বাস্তবতার মধ্যে কাল খোলা হচ্ছে হলগুলো।
আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে গিয়ে দেখা গেল, হলে চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি সংস্কারকাজ। হলের অতিথিকক্ষে বসানো হয়েছে নতুন সোফা। শিক্ষার্থীদের ফেলে দেওয়া কাপড়গুলো সংগ্রহ করতে দেখা গেল কয়েকজনকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের যেসব শিক্ষার্থী করোনার অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নীতিমালা অনুসরণ করে টিকা নেওয়ার কার্ড বা সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে কাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সকাল ১০টায় বিজয় একাত্তর হল এবং সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল পরিদর্শন করবেন।