ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো. আখতারুজ্জামান।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঁইয়া। এ ছাড়া সেখানে অ্যালামনাইয়ের কার্যনির্বাহী কমিটি ও আজীবন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য আখতারুজ্জামান অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি ও আজীবন সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে অ্যালামনাই নেটওয়ার্কিংয়ের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে এই সংস্কৃতির অভাব আছে। এ দেশে ‘একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্স’ এবং ‘অ্যালামনাই নেটওয়ার্কিং’—এই দুটি বিষয়ের সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি।
সভাপতির বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, ‘অ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে মাসে আড়াই হাজার টাকা করে প্রতিবছর তিন কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়। এই বৃত্তি না দেওয়া হলে অনেক শিক্ষার্থীরই হয়তো লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। তাই আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য হলো অ্যালামনাইয়ের উদ্যোগে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করা।’
উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। অনলাইনে যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, সাবেক সভাপতি ও মহাসচিব রকীবউদ্দীন আহম্মেদ। এ ছাড়া সশরীর উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা জানান অ্যালামনাইয়ের সহসভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান রাশিদুল হাসান ও সদস্য সেলিমা খাতুন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকাইয়া হাসিনা।