মানুষের চিন্তাভাবনায় ফ্রেশনেস আনতে ক্লেমন কাজ করে যাচ্ছে অনেক দিন ধরে। তরুণদের রিফ্রেশিং চিন্তা ও নতুন আইডিয়া যেন অব্যাহত থাকে, তাঁরা যেন তাঁদের প্যাশনের কাজে হাল ছেড়ে না দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন, সে জন্যই তাঁদের একটু গাইড করতে ক্লেমন নিয়ে এসেছে ‘স্কুল অব ফ্রেশনেস’।
ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেসের সিজন–১–এর ফিল্মমেকিং এবং স্টার্টআপ নিয়ে চমৎকার দুটি চ্যাপ্টার শেষে এবার শুরু হতে যাচ্ছে তৃতীয় চ্যাপ্টার। এবারের চ্যাপ্টারের টপিক হলো কীভাবে সোশ্যাল কোনো কাজ নিয়ে ইনোভেটিভ স্টার্টআপ শুরু করা যায়।
দেশজুড়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার জন্য অনেকের মাথায়ই আসে অনেক আইডিয়া। কিন্তু সেই আইডিয়া শুধু কি সার্ভিস হিসেবেই কাজ করবে নাকি এর মাধ্যমেও নিজের বিজনেস দাঁড় করানো সম্ভব? আমাদের তরুণদের মনেও আছে এমন অনেক প্রশ্ন। তাঁদের ইউনিক আর হেল্পফুল অ্যাডভাইসের মাধ্যমে একটুখানি গাইড করতে এবারের চ্যাপ্টারে পরামর্শ দেবেন ফাহিম উদ্দিন শুভ, যিনি গার্বেজম্যান নামেও পরিচিত।
ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেসের সিজন-১ চ্যাপ্টার-৩–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর স্টুডিওতে কথা বলেছেন গার্বেজম্যান ফাহিম উদ্দিন শুভ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন রাফসান সাবাব।
ফাহিম উদ্দিন শুভ সমাজের একটি সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে কীভাবে গার্বেজম্যান হয়ে গেলেন এবং তাঁর এই উদ্যোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, তখনই আশপাশে আবর্জনা ছড়ানো দেখে খুব বিরক্ত লাগত। চাকরিতে ঢুকেও দেখি, বাড়ি বানানোর সময় কেউ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে চিন্তা করে না। তখনই বুঝলাম যে ফ্রেশনেস ছড়াতে চাইলে নিজেকেই শুরু করতে হবে। তখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া শুরু করলাম।
নিজেদের শহরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফাহিম উদ্দিন শুভ বলেন, নিজের সৃষ্ট আবর্জনাগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা থেকেই হতে পারে ফ্রেশনেসের শুরু। সবাই যদি নিজেদের চারপাশের পরিবেশকে রিফ্রেশড রাখেন, তাহলেই ফ্রেশনেস ছড়ানো সম্ভব।
গার্বেজম্যান একটি অন্য রকম আইডিয়া, ইউনিক একটি বিজনেস। এ রকম সামাজিক সমস্যার সমাধানের সঙ্গে বিজনেসকে রিলেট করা সহজ নয়। অনেক তরুণ আছেন, যাঁরা সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করতে চান, কিন্তু সেটা নিয়ে বিজনেস শুরু করতে পারেন না। তাঁদের জন্য পরামর্শ কী হতে পারে?
এর উত্তরে ফাহিম উদ্দিন শুভ বলেন, শুরুতেই সমস্যার একটা সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। সেখান থেকেই কিন্তু বিজনেসের আইডিয়া চলে আসতে পারে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ফাহিম বলেন, শুধু সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করলে হবে না, বরং অন্যদের থেকে একটু আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে, নিজেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। যেমন রাস্তায় ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা, শব্দদূষণ রোধে নিজে অযথা হর্ন না বাজানো, এমন ছোট ছোট কাজ নিজে থেকেই শুরু করা। এভাবেই সমাজে অবদান রাখা যাবে। আর যেকোনো উদ্যোগ নিতে গেলে রিস্ক বা ঝুঁকি নিতেই হবে।
বিভিন্ন ঝামেলা সামনে চলে আসবে, তখন সেটার সমাধানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রথমেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না, বারবার ভুল করার মাধ্যমেই শিখতে হবে।
এভাবেই একটি সুন্দর ও শিক্ষণীয় আড্ডা এগিয়ে চলে। গার্বেজম্যান ফাহিম উদ্দিন শুভর কাছ থেকে আরও অনেক পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে দেখতে হবে ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেসের আগামী পর্বগুলো। আর সে জন্য চোখ রাখতে হবে ক্লেমন এবং প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে।
অনুলিখন: ভক্ত সাগর ঊর্মি নিতু